নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক এর বেশি তরুণ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল টেলিভিশন। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে।
সংসদে বিক্ষোভ:
কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ কমপ্লেক্সে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তারা একটি অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন লাগিয়ে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে ইটপাটকলে নিক্ষেপ করে এবং আহতদের মোটরসাইকেলে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।
তরুণদের ক্ষোভ:
আন্দোলনকারীরা এটিকে “জেন-জির প্রতিবাদ” বলে অভিহিত করছেন। তারা বলেন, সামাজিক মাধ্যম বন্ধ এবং সরকারের নীতির কারণে তরুণদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
সরকারের ব্যাখ্যা:
সরকার বলেছে, ফেসবুকসহ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো ভুল তথ্য, হিংসাত্মক বক্তব্য প্রচার এবং প্রতারণার জন্য ব্যবহার হচ্ছিল।
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা:
পুলিশকে জল কামান, লাঠি ও রাবার বুলেট ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহায়তার জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কাঠমান্ডুর সিংহ দরবার এলাকায় কারফিউ রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:
নেপালের তরুণদের মধ্যে সরকারের দুর্নীতি ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ব্যর্থতার প্রতি ক্ষোভ ব্যাপক। আন্দোলন দেশের অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট:
নেপালের সামাজিক মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা এমন সময়ে এসেছে, যখন বিশ্বব্যাপী বহু দেশ – যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, ভারত, চীন ও অস্ট্রেলিয়া – সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ এবং অনলাইন নিরাপত্তা কঠোর করছে।
সমালোচকরা বলছেন, এতে স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, তবে নিয়ন্ত্রকরা মনে করেন এটি প্রয়োজনীয়।